Download Programming Books | Concrete Mathematics: A Foundation for Computer Science free download | Programming Challenges
http://www.freebookspot.ws/Books-Concrete%20Mathematics%20%20A%20Foundation%20for%20Computer%20Science.htm
Programming Challenges
http://acm.cs.buap.mx/downloads/Programming_Challenges.pdf
and
http://basic-programming.googlecode.com/files/Programming%20Challenges.pdf
পেনড্রাইভ থেকে পিসিতে ভাইরাস ঢোকবার পথটাই বন্ধ করে দিন | Protect virus from pendrive
উইন্ডোজে বাই ডিফল্ট অটোরান সার্ভিস চালু করা থাকে। ফলে সিডিরোম বা ডিভিডিরোম ড্রাইভে ডিস্ক ঢোকালে বা পিসিতে পেনড্রাইভ ঢোকালে সেগুলো নিজে নিজেই চালু হয়ে যায় বা কিভাবে আপনি তা চালু করবেন তা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে। প্রথমত এই অটোরানের সুযোগ নেয় ভাইরাসগুলো। আপনি যদি এইসব ড্রাইভগুলোর প্রপার্টিতে গিয়ে অটোরান ট্যাব থেকে অটোরান বন্ধ করে দেন; এর পরও ভাইরাসগুলো ঢোকে তখন যখন আপনি মাই কম্পিউটারে গিয়ে সেই ড্রাইভ খোলার জন্য তার উপর ডাবল ক্লিক করেন। এর কারন হলো পেনড্রাইভের ভেতরে যদি কোন ভাইরাস থাকে তাহলে সে পেন ড্রাইভের ভেতরে (রুটে) একটি অটোরান নামের আই.এন.এফ ফাইল তৈরী করে রাখে। এই ফাইলে পেন ড্রাইভটি ওপেন করা মাত্রই যাতে ভাইরাসটি পিসিতে ঢুকে যায় সেই নির্দেশ দেয়া থাকে।
পেনড্রাইভের মাধ্যমে ছাড়ানো ভাইরাসগুলোর থেকে আপনার পিসিকে যদি মুক্ত রাখতে চান তাহলে নিচের নিয়মগুলো অনুসরন করুন:
(১) ড্রাইভের প্রপার্টিতে গিয়ে সেই ড্রাইভের আটোরান বন্ধ করলেই এটি পুরোপুরি বন্ধ হয় না। ফলে উইন্ডোজের আটোরান সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার জন্য Start > Settings > Control panel > Administrative tools > Services -এ যান। সেখানে লিস্ট থেকে Shell Hardware Detection খুঁজে বের করে এর উপর ডাবল ক্লিক করে তার প্রপার্টিজে যান। সেখানে প্রথমে Startup type এর কম্বোবক্স এর লিস্ট থেকে Disabled সিলেক্ট করুন। এর পর Stop বাটনে ক্লিক করে Ok করুন। এর ফলে উইন্ডোজের অটোরান সার্ভিসটি পুরোপুরি বন্ধ হবে। এই কাজটি বার বার করতে হবে না, একবার করলেই হবে।
(২) কোন পেন ড্রাইভ পিসিতে ঢোকাবার আগে তার ভেতরে ভাইরাস আছে কিনা সে সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিত না থাকেন তাহলে কখনই মাই কম্পিউটারে গিয়ে ডাবল ক্লিক করে সেটি ওপেন করবেন না। সেটা ওপেন করতে Start > Programs > Accessories-এ গিয়ে Windows Explorer ওপেন করুন। সেখানে দেখুন বামে একটি লিস্ট রয়েছে এবং ডানে একটি লিস্ট রয়েছে। বাম পার্শ্বের এরকম লিস্টকে ট্রি-ভিউ লিস্ট বলা হয়। ট্রি-ভিউ লিস্টে মাই কম্পিউটারের উপর সিঙ্গেল ক্লিক করলে তা এক্সপ্যান্ড হবে। এই ভাবে ট্রি-ভিউ লিস্টে যেই ফোল্ডার বা ড্রাইভের উপর ক্লিক করা হবে সেই ফোল্ডার/ড্রাইভের ভেতরে যেই ফোল্ডারসমূহ রয়েছে তা তার নিচেই খুলে যাবে আর ডানের লিস্টে খুলবে তার ভেতরের ফাইল এবং ফোল্ডারসমূহ দুটোই। পেনড্রাইভের ক্ষেত্রে ফোল্ডর খুলতে অবশ্যই ট্রি-ভিউ লিস্ট ব্যাবহার করুন। আর ফাইল খুলতে ডান পার্শ্বের লিস্ট ব্যবহার করুন। ভুল করেও ডান পার্শ্বের লিস্ট থেকে কোন ফোল্ডারের উপর ডাবল ক্লিক কলে ফোল্ডার ওপেন করবেনা। তাহলে সেই ফোল্ডারে ভাইরাস থাকলে সেটা অটোরান হয়ে আপনার পিসিকে আক্রমন করবে।
(৩) পিসিতে পেনড্রাইভ ঢোকানের পর প্রথমেই এক্সপ্লোরার -এ গিয়ে ট্রি-ভিউ লিস্ট থেকে পেনড্রাইভের উপর ডান ক্লিক করে এন্টিভাইরাস দিয়ে তা চেক করে নিন। এন্টিভাইরাস দ্বারা যদি কোন ভাইরাস ধরা না পড়ে তাহলেও নিশ্চিন্ত হবেন না। ওপরে বলে দেয়া নিয়মের মত করে পেনড্রাইভ একসেস করুন। (ইচ্ছে করলে এক্সপ্লোরারের একটি শর্টকাট ডেক্সটপে তৈরী করে নিতে পারেন)
(৪) কোন বন্ধুকে যদি শুধুমাত্র কোন ফাইল/ফোল্ডার পেনড্রাইভে কপি করে দেয়ার থাকে তাহলে তার পেনড্রাইভ লাগানোর পর সেই ফাইল/ফোল্ডারের উপর ডান ক্লিক করে মেনু থেকে সেন্ড টু এর মাধ্যমে পেনড্রাইভে সেন্ড করে দিন। প্রয়জনে না থাকলে পেনড্রাইভ ওপেন করবেন না। প্রত্যেকবার পেনড্রাইভ ব্যবহারের সময় উপরের এই বিষয়গুলি ভালোভাবে খেয়াল রাখুন। তেমন কঠিন কিছু কিন্তু নয়, একটু সতর্ক থাকুন - ভাইরাস ঢুকবেনা।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ | Control other computer with internet
এজন্য উভয়ই http://www.teamviewer.com থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনষ্টল করুন। এবার উভয়ই সফটওয়্যারটি চালু করুন, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে Your Details অংশে ID এবং Password আসবে। যেহেতু আপনি আপনার বন্ধুর কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করবেন তাই আপনার বন্ধুর কাছ থেকে এসএমএস, ফোন, মোবাইল, ম্যাসেজ (চ্যাট) বা ইমেইলের মাধ্যমে তার টিমভিউয়ারের ID এবং Password জেনে নিন। এখন আপনার টিমভিউয়ারের (Remote Support নির্বাচন রেখে) Partner Details এর ID অংশে আপনার বন্ধুর দেওয়া আইডি লিখে Connect Partner বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের টিমভিউয়ার পরীক্ষা করবে। এবপরে পাসওয়ার্ড চাইলে আপনার বন্ধুর দেওয়া পাসওয়ার্ড লিখে Log On বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার বন্ধুর দেওয়া আইডির টাইটেলে একটা উইন্ডো আসবে, যা আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের ডেক্সটপ। এখন আপনি উক্ত ডেস্কটপের মাধ্যমে আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ (ফাইল/ফোল্ডার তৈরী, ডিলিট করা, টাইপ করা, সফটওয়্যার ইনষ্টল করা, ডাউনলোড করা, গান দেখা ইত্যাদি) করতে পারবেন। মোট কথা ইন্টারনেটর সংযোগ অক্ষুন্ন রেখে কম্পিউটার লগঅফ/সার্টডাউন ছাড়া বাকি সবই করতে পারবেণ। এছাড়াও Filetransfer থেকে সংযোগ নিলে আপনার নিজের কম্পিউটারের ফাইল আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল/ফোল্ডার আদান প্রদান করতে পারবেন।
একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট শেয়ার করা | Sharing internet in more than one computer
প্রথমে আপনি আপনার কম্পিউটারে এডজ মডেম দ্বারা ইন্টারনেটের সংযোগ স্থাপন করুন। এরপরে সিস্টেম ট্রেতে থাকা উক্ত সংযোগের আইকনের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Status এ ক্লিক করুন। অথবা Control Panel থেকে Network Connections এ গিয়ে উক্ত সংযোগের আইকনের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Status এ ক্লিক করুন একটি স্টেটাস উইন্ডো আসবে। এবার General ট্যাবে থেকে Properties বাটনে ক্লিক করুন তাহলে প্রোপার্টিস উইন্ডো আসবে। এবার Advance ট্যাবে ক্লিক করে Internet Connection Sharing অংশে Allow other network users to connect through this computer’s internet connection চেক (যদি আপনার একাধিক লোকাল এরিয়ার সংযোগ থাকে তাহলে একটি ম্যাসেজ আসবে যে আপনি কোন লোকাল এরিয়াতে ইন্টারনেট শেয়ার দিবেন, আপনি আপনার পছন্দেরটি নির্বাচন করবেন।) করে Ok করুন। তাহলে Network Connections এর পরপর তিনটি ম্যাসেজ আসবে যেগুলোতে ধারাবাহিক ভাবে Ok Yes Ok করুন। এখন দেখুন আপনার কম্পিউটারের লোকাল আইপি পরিবর্তন হয়ে ১৯২.১৬৮.০.১ হয়েছে।
এখন আপনি লোকাল এরিয়ার Status এ গিয়ে Properties বাটনে ক্লিক করে General ট্যাবে থেকে This connection uses the following items অংশের Internet Protocol (TCP/IP) নির্বাচন করে Properties বাটনে ক্লিক করুন। এবার আইপি ১৯২.১৬৮.০.১ পরিবর্তন করে পূর্বের আইপি ১৯২.১৬৮.১.১২ দিন এবং Ok করুন।
এবার যে কম্পিউটারে আপনি ইন্টারনেট সংযোগ পেতে চান সেই কম্পিউটারের লোকাল এরিয়ার Status এ গিয়ে Properties বাটনে ক্লিক করে General ট্যাবে থেকে This connection uses the following items অংশের Internet Protocol (TCP/IP) নির্বাচন করে Properties বাটনে ক্লিক করুন। এবার Default gateway এর আইপি এড্রেস হিসাবে ১৯২.১৬৮.১.১২ লিখুন। এরপরে Use the flowing DNS server addresses অপশন বাটন চেক করে Preferred DNS server এর আইপি এড্রেস হিসাবেও ১৯২.১৬৮.১.১২ লিখে Ok Ok Ok করুন।
এবার দেখুন আপনার এই কম্পিউটারে ইন্টারনেটের সংযোগ এসেছে। এভাবে আপনি অন্য আরেকটি কম্পিউটারে সংযোগ নিতে পারনে। ব্রডব্যান্ডের সংযোগও এভাবে শেয়ার করে ব্যবহার করা যাবে।
WhatsUp Gold দিয়ে নেটওয়ার্ক মনিটর করুন | Monitor your network with WhatsUp Gold
কর্পোরেট অফিসগুলোতে বিভিন্ন রকম সার্ভার, রাউটার, সুইচ, ল্যান প্রিন্টার সহ অনেক ডিভাইস থাকে যা সরসারি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকে। এবং অনেক সার্ভার এবং ডিভাইস আছে যা সারাক্ষন চালু থাকতে হয়। বিশেষ করে ইমেইল সার্ভার, ওয়েব সার্ভার, রাউটার ইত্যাদি ২৪ ঘন্টা অনলাইনে থাকাটা বাধ্যতামূলক। এসব সার্ভার এবং ডিভাইস ১ ঘন্টা বন্ধ থাকার ফলে কোম্পানী বড় অংকের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। ফলে সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটরদের সারাক্ষন সতর্ক থকাতে হয় কখন সার্ভার ডাউন হল, আই এস পি'র সাথে লিংক ঠিক আছে কিনা ইত্যাদি ব্যাপারে। বেশী সমস্যা হয়ে যায় অফিস টাইমের পরে। কারণ তখন অফিসে কেউ না থাকার ফলে সার্ভার/লিংক কখন ডাউন হল বুঝা যায় না। ফলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা ও নেওয়া যায় না। তাই সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটরদের জন্য নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা ব্যাপার। WhatsUp Gold সফটওয়ারটি দিয়ে ভাল একটা নেটওয়ার্ক মনিটর সিস্টেম তৈরী করা যায় খুব সহজেই। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে আমরা কিছু সার্ভারকে মনিটর করব যেন ডাউন হওয়ার সাথে সাথেই ওয়ার্নিং সাউন্ড বাজতে থাকবে।
বিস্তারিত দেখুন এখানে
Bluetooth রিমোট কন্ট্রোল | Bluetooth Remote Control
এটা ইউজ করতে যা যা লাগবে তা হলঃ
১.একটি Bluetooth যুক্ত ফোনসেট (2.0 হলে ভাল হয়)
২.BluetoothRemoteControl.exe (সফটয়্যার)
৩.একটি Bluetooth ডিভাইস।
How to Use:
প্রথমে pc তে BluetoothRemoteControl.exe সফটয়্যারটি ইন্সটল করুন। pc তে প্রোগ্রামটি রান করুন। সেখানে গেলে"install phone client" নামে একটা ট্যাব দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করলে একটা উইন্ডো ওপেন হবে। (এখানে instruction নামে একটা ফাইল আছে,এটা ফলো করতে পারেন) এখান থেকে আপনার ফোনে জাভা সফটয়্যারটি ইন্সটল করুন। ফোনে প্রোগ্রামটি রান করুন, pc তে প্রোগ্রামটি রান করুন। PC তে "select Phone" ট্যাবে ক্লিক করুন। অন্য একটি উইন্ডো্তে সার্চ করে আপনার Bluetooth এর নাম পেয়ে গেলে finish এ ক্লিক করুন। এবার "connect to phone " ট্যাব এ ক্লিক করুন।
Then Enjoy................
সুবিধা সমূহঃ
১.PowerPoint Presentation ( প্রত্যেক slide এর image preview অথবা outline preview.
2. PowerPoint lite.
3. Itune
4. Mouse controller ( আপনার PCর window এখানে দেখতে পাবেন, Phone এর joystick দিয়ে mouse control)
5. Windows Media player
6. Winamp
7. File Browser (Pcর যেকোন drive এ গিয়ে যেকোন file ওপেন)
8. Windows System Control (System Volume, Start Screensaver, Shutdown, Restart)
9.Keymaps(Acrobat Reader, Xingview, Irfanview, BSplayer,Realplayer,power DVD, VLC mediaplayer,MMjukebox)
10. যেকোন program যেটাতে keyboard shortcut আছে তা manually
সেট করে নিতে পারবেন( program টিতে গিয়ে application>new ট্যাবে)
সফটয়্যারটির Download Link:
Click This Link
এটা Traial Version, এটাকে unlimited এ রুপান্তর করতে, program টিতে গিয়ে purchase>active manually ট্যাবে clickকরুন। Serial No. প্রবেশ করান,OK করুন।
Serial No. পেতে mail করুনঃ springrain.04@gmail.com
গুগল এ থিসিস সার্চ করুন | Search Thesis In Google
প্রথমে গুগল এ যান। তারপর "ইউনিভার্সিটি সার্চ" লিখুন। এখন গুগল এর একটা সাইট আসবে যেটা তে ইউনিভার্সিটি সার্চ কথাটা থাকে। এখানে এ ক্লিক করুন। তারপর অনেকগুলো ইউনিভার্সিটির নাম আসবে(যেমন Caltech/MIT/ Princeton/ Berkley.. ..) । এখন যে কোনো একটা নামের ওপর ক্লিক করলে আবার সার্চ অপশন আসবে। এবার কী ওয়ার্ড লিখে সার্চ দিতে হবে। যেমন etd (stands for electronic thesis document) লিখে সার্চ দিলে সব থিসিস চলে আসবে।
এটা ব্যবহার করলে অনেক থিসিস খুজে পাওয়া যায়। এর অনেকগুলো ডাউনলোড করা যায়। এই সাইট টা আসলে ইউনিভার্সিটিগুলোর অনলাইন লাইব্রেরিতে নিয়া যায়। আমি Caltech এ সাইট থেকে কয়েকটা নামিয়ে ছিলাম।
ভালো একটা থিসিস পেলে অনেক সময় জার্নাল এর চেয়ে ভাল কাজ হয়।
দুটি প্রক্সি সফটওয়ার | Proxy software
যাই হোক, যে কোন কারনেই হোক, ব্যান করা ওয়েবসাইট ভিজিট করা যায় প্রক্সি ব্যাবহার করে। নিচে দুটি প্রক্সি সফটওয়ারের কথা বলছি।
১/ Ultra Surf
এ সফটওয়ারটি চমৎকার কাজ করে। সব সাইট ই ওপেন করা যায়। Portable এই সফটওয়ারটি কে আপনি Flopy Disc ও USB Memory তে রেখে প্রয়োজন মত কাজে লাগাতে পারেন। তবে এই সফটওয়ারটি শুধু IE কাজ করে। ডাওনলোড শেষ হলে আনজিপ করার সময় আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়ারটি এটাকে এন্টিভাইরাস হিসেবে ডিটেক্ট করে ডিলেট করতে পারে। তাই এন্টিভাইরাস সফটওয়ারটিকে সে সময় ডিসএবল রাখুন।
Download
বিস্তারিত
২/ Anchorfree
এটি একটি পাওয়ারফুল প্রক্সি সফটওয়ার। যে কোন ব্রাইজারতেই এটি কাজ করতে পারে।
Download
টাস্ক ম্যানেজার হ্যাজ বিন ডিসেবলড বাই ইউর এডমিনিস্ট্রেটর !! | Task manager has been disabled by your administrator | Computer virus problem
ধরুন আপনার কোনো ভুলের কারনে অথবা অসতর্কতার কারণে পিসির ফোল্ডার অপশন চলে গেল। এখন ফোল্ডার অপশনে গিয়ে হিডেন ফাইলে একসেস করবেন সেই উপায় নেই। এটি মুলত কোনো ভাইরাসই হোক অথবা অন্য কোনো প্রোগ্রামই হোক অনেক সময় অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে ডিলিট করে দিতে , কিন্তু ৯৯% সম্ভাবনা ঐ ফাইলটি ডিলিট করা তো দুরের কথা, ধরাই পড়বে না। যার ফলে আপনি চাইছেন টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে ঐ প্রোগ্রামের প্রসেস বন্ধ করে দিতে, কিন্তু আশ্চর্যের সাথে দেখলেন টাস্ক ম্যানেজার ও গায়েব ! মাথায় হাত দেয়া ছাড়া উপায় নাই। একটাই রাস্তা আছে রেজিস্ট্রি এডিটরে গিয়ে কিছু ভ্যালু চেন্জ করে ফোল্ডার অপশন টা ফিরিয়ে আনা কিন্তু আরো জটিল ব্যাপার হল রেজিস্ট্রি এডিটরেও অ্যাকসেস করা যাচ্ছে না। বলছে Regeditor is disabled by the Administrator. এই পর্যায়ে এসে উইন্ডোজ রিইনস্টল করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
এই ধরনের সমস্যা থেকে বাচতে নিচের সফ্টওয়্যার টি ব্যবহার করলে ৯৯.৯৯% সম্ভাবনা আপনার ফোল্ডার অপশন, টাস্ক ম্যানেজার, রেজিস্ট্রি এডিটর পুনরায় ফিরে পাবেন।
সম্পুর্ন ফ্রি এই ফাইলটি মাত্র ৭ কিলোবাইটের ! ডাওনলোড করে চালু করুন। তারপর পরবর্তী ধাপে যান এবং শেষ হলে পিসি রিস্টার্ট করুন। দেখবেন ফিরে এসেছে ফোল্ডার অপশন, টাস্ক ম্যানেজার, এবং রেজিস্ট্রি এডিটর।
ডাওনলোড করুন
অনলাইনে ফ্রী ল্যান্স কাজ | Online Freelencing
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্ববচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়। এই পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)। এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে: http://www.RentACoder.com, http://www.GetAFreelancer.com, http://www.GetACoder.com, http://www.Scriptlance .com, http://www.Joomlancers .com , http://www.oDesk.com ইত্যাদি।
নিচে কয়েকটি সাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
http://www.RentACoder.com
রেন্ট-এ-কোডার এ প্রায় দুই লক্ষ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই সাইটে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ পাওয়া যায়। সাইটের সার্ভিস চার্জ বা কমিশন হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১৫% যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারকে পরিশোধ করতে হয়। এই প্রতিবেদনটি মূলত রেন্ট-এ-কোডার সাইটকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তবে মূল ধারনা প্রতিটি সাইটের ক্ষেত্রেই প্রায় একই।
http://www.GetAFreelancer.com
এই সাইটে মোট কোডার বা প্রোভাইডারের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় সাত লক্ষ। এই সাইটেও প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ প্রতিদিন পাওয়া যায়। সাইটির সার্ভিস চার্জ হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১০%। তবে গোল্ড মেম্বারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ নেই। গোল্ড মেম্বার হতে প্রতি মাসে আপনাকে মাত্র ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। নতুন ইউজারদের জন্য এই সাইটে ট্রায়াল প্রোজেক্ট নামে একটি বিশেষ ধরনের কাজ পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র নতুন কোডারাই বিড করতে পারবে। ফলে প্রথম কাজ পেতে আপনাকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
http://www.joomlancers.com
এই সাইটে শুধুমাত্র Joomla এর কাজ পাওয়া যায়। Joomla হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যারা Joomla এ পারদর্শী তারা এই সাইটে বিড করে দেখতে পারেন। এখানে প্রায় ৫৫০০ ফ্রিল্যান্সার রেজিস্ট্রেশন করেছে আর এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ টি কাজ পাওয়া যায়। এই সাইটে কমিশন হিসেবে প্রতিটি কাজের ১০% টাকা কোডারকে পরিশোধ করতে হবে। গোল্ড মেম্বার হতে হলে আপনাকে প্রতি মাসে ৫০ ডলার প্রদান করতে হবে।
http://www.oDesk.com
এক সাইটের ফিচার উপরে উল্লেখিত সাইট থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে প্রোভাইডারকে প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য টাকা প্রদান করা হয়। ক্লায়েন্ট আপনাকে সম্পূর্ণ প্রজোক্টের জন্য বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস এর জন্য) নিয়োগ দিতে পারে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় প্রতি ঘন্টায় আপনার কাজের মূল্য উল্লেখ করে দিতে হবে। কাজ শেষে আপনি যত ঘন্টা কাজ করেছেন ঠিক ততটুকু পরিমাণ টাকা ক্লায়েন্ট আপনাকে প্রদান করবে। কাজ করার মূহুর্তে আপনার ব্যয়কৃত সময় নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে একটি সফ্টওয়্যার চালু রাখতে হবে। এই সফ্টওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনার ডেস্কটপের স্ক্রিসশট এবং অন্যান্য তথ্য ক্লায়েন্টের কাছে পাঠাবে। ফলে ওই সময় আপনি কাজ করছেন কিনা ক্লায়েন্ট সহজেই নির্ধারণ করতে পারবে। তবে অন্য সাইটগুলোর মত এখানেও অনেক কাজ পাওয়া যায় যেখানে সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট টাকা প্রদান করা হয়। এই সাইটে প্রতি কাজের জন্য ১০% টাকা কমিশন হিসেবে প্রদান করতে হয়। যেহেতু বেশিরভাগ কাজ ঘন্টা হিসেবে প্রদান করা হয় তাই অন্য সাইটগুলোর তুলনায় এই সাইট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব।
অনলাইনে কাজের ধরন
অনলাইনে প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন তাহলে ডাটা এন্ট্রি এর মত কাজগুলো করতে পারেন। ছাত্ররাও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের একটা ব্যবস্থা করতে পারেন। ইন্টারনেটে নিম্নলিখিত প্রকারের কাজ পাওয়া যায়: প্রোগ্রামিং , ওয়েবসাইট তৈরি , ডাটাবেইজ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, গেম তৈরি, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়ার টেস্টিং এবং ডাটা এন্ট্রি।
কিভাবে শুরু করবেন
প্রথমে যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিস্ট্রশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রশন করা সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ইমেইল ইত্যাদি সঠিকভাবে দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের একটি ধাপে আপনার একটি প্রোফাইল/রেজ্যুমে তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে পারদর্শী তা উল্লেখ করবেন। এখানে আপনি আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, ওয়েবসাইট লিংক ইত্যাদি দিতে পারেন। পরবর্তীকালে এই প্রোফাইল কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর, এখন আপনি বিড করা শুরু করে দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে প্রতি মূহুর্তে নতুন কাজ আসছে। আপনার পারদর্শীতা আনুযায়ী প্রতিটা কাজ দেখতে থাকুন। প্রথম কয়েক দিন বিড করার কোন প্রয়োজন নেই। এই কয়েকদিন ওয়েবসাইটি ভাল করে দেখে নিন। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন এবং সাহায্যকারী আর্টিকেল পড়ে ফেলতে পারেন। একটি কথা মনে রাখবেন, প্রথমদিকে কাজ পাওয়া কিন্তু সহজ নয়। তাই আপনাকে ধর্য্যসহকারে বিড করে যেতে হবে। প্রথম কাজ পেতে হয়ত ১০ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। কয়েকটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। তখন ক্লায়েন্টরাই আপনাকে খোজে বের করবে।
কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়
শুরুতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে জানতে হবে। সেগুলো হল:
Rating :
একটি কাজ সম্পন্ন হবার পর ক্লায়েন্ট আপনার কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে আপনাকে ভোট দিবে। এখানে সর্বোত্তকৃষ্ট রেটিং হচ্ছে ১০। নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে এই রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন ১০ রেটিং পেতে। এজন্য কাজ জমা দেয়ার আগে ভাল করে দেখে নিন আপনি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন কিনা এবং নির্ধারিত সময় শেষ হবার পূর্বেই কাজ জমা দিন। গড় রেটিং ৯ এর চেয়ে কম হলে ধীরে ধীরে নতুন কাজ পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
Ranking :
ফ্রিল্যান্সিং একটি সাইটে সকল কোডার এর মধ্যে আপনার অবস্থান কত তা জানা যায় রেংকিং এর মাধ্যমে। রেন্ট-এ-কোডারে আপনার গড় রেটিং এবং সর্বমোট কত টাকার কাজ সম্পন্ন করেছেন তা দিয়ে আপনার অবস্থান নির্ধারিত হয়। রেটিং এর মত রেংকিং ও নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার রেংকিং যত সামনের দিকে তার কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে বেশি। তবে বিড করার সময় আপনি যদি ক্লায়েন্টকে আপনার মনোবল, আত্মবিশ্বাস আর সম্ভব হলে পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে পারেন তাহলে সবাইকে পেছনে ফেলে আপনিই কাজ পেয়ে যেতে পারেন।
Deadline :
কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্ট কাজ জমা দেবার একটি ডেডলাইন বা সর্বোচ্চ সময়সীমা উল্লেখ করে দেয়। আপনার যদি মনে হয় যে এই কাজ আপনি ক্লায়েন্ট কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারবেন না তাহলে কাজ শুরু করার পূর্বেই ক্লায়েন্টকে অনুরোধ করুন ডেডলাইন সময় বাড়িয়ে দিতে। ক্লায়েন্ট সম্মত হলে কাজটি শুরু করুন। আর যদি ক্লায়েন্ট সময় বাড়াতে আপত্তি জানায় তাহলে কাজটি গ্রহন না করাই আপনার জন্য ভাল হবে। কারন ডেডলানে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যদি আপনি কাজটি জমা দিতে না পারেন তাহলে কাজের সম্পূর্ণ টাকাই আপনি হারাতে পারেন। উপরন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি বাজে রেটিং দিয়ে দিতে পারে। তাই কখনও যদি এরকম কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তখন অনতিবিলম্বে আপনার বর্তমান অবস্থা ক্লায়েন্টকে জানান এবং ডেডলাইন সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করুন।
Mediation/Arbitration:
কখনও যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় বা সম্পূর্ণ কাজ জমা দেবার পর আপনাকে বলে যে আপনি ঠিকভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করেন নি তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মেডিএশন/আর্বিট্রশনের সাহায্য নিতে পারেন। এই সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি ওই সাইটের কাছে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন। সাইটের কর্তৃপক্ষ তখন উভয়পক্ষের অভিযোগ শুনবে এবং কাজ চলাকালীন সময় ক্লায়েন্ট এবং আপনার মধ্যে যে ম্যাসেজ আদান-প্রদান হয়েছে তা যাচাই করে দেখবে। সবশেষে আপনার অভিযোগ সত্য হলে আপনি পুরো টাকা পেয়ে যাবেন। তবে যতটা সম্ভব আর্বিট্রেশনে না যাওয়াই উত্তম, কারন অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ ক্লায়েন্টকে সাপোর্ট করে এবং আপনি কোন টাকা পাবেন না। আপনি দোষী প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি বাজে রেটিং দিয়ে দিবে। তাই চেষ্টা করবেন আলোচনার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে মিমাংসা করে নিতে। এরকম অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্টকে বলুন তাদের চাহিদা পরিষ্কার করে উল্লেখ করতে। ক্লায়েন্টকে সরাসরি ইমেইল না করে সকল ম্যাসেজ আদান-প্রদান ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে করুন।
Escrow :
কাজ শুরু করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জমা রাখে। এই জমা রাখাকে বলা হয় এসক্রো যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারের টাকা পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। ক্লায়েন্ট টাকা এসক্রোতে জমা রাখা পূর্বে কাজ শুরু করা উচিত নয়।
একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করার ধাপসমূহ
নিচে রেন্ট-এ-কোডার সাইটের আলোকে একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হল:
১. প্রজেক্ট সার্চ করা
প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কাজ আসছে। এর মধ্য থেকে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ তা খোজে বের করে প্রতিটি কাজ পর্যবেক্ষণ করুন। এতে ওই ধরনের কাজে ক্লায়েন্টদের চাহিদা এবং কাজের মূল্য সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারনা হবে। নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ধরনের কাজ খোজার জন্য আপনি সাইটের প্রজেক্ট ফিল্টার সেটিং-এর সাহায্য নিতে পারেন।
২. বিড করা
একটি কাজ পর্যবেক্ষণ করার পর আপনি যদি মনে করেন কাজটি আপনি সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে পাবেন তাহলে ওই কাজের জন্য বিড করুন। বিড করতে আপনাকে সাইটে লগইন করতে হবে। বিড করার জন্য আপনি ওই কাজটি কত ডলারে সম্পন্ন করতে পারবেন তা উল্লেখ করুন এবং কাজটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানিয়ে ক্লায়েন্টকে ম্যাসেজ দিন। এখানে লক্ষণীয় হচ্ছে, একটি কাজের জন্য সর্বোচ্চ কত ডলার বিড করতে পারবেন তা প্রজেক্টের বিবরণের সাথে উল্লেখ করে দেয়। তাই তার মধ্যে বিড করুন। তবে আপনি যদি ওই সাইটে এর আগে কোন কাজ না করে থাকেন তাহলে যতটুকু সম্ভব কম মূল্য উল্লেখ করুন। আপনার রেংকিং বাড়ার সাথে সাথে বিডের মূল্য বাড়িয়ে দিন।
৩. কাজ শুরু করা
সকল কোডারের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে নির্বাচিত করে থাকে তাহলে দেরি না করে শুরু করে দিন। ক্লায়েন্ট সাধারণত কাজ শুরুর সাথে সাথে সকল টাকা এসক্রোতে জমা রেখে দেয়। তবে কোন কারনে জমা দিতে দেরি হলে তাকে অনুরোধ করুন। এরপর ক্লায়েন্টের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল, তাদের সার্ভার ও ডাটাবেইজের তথ্য জেনে নিয়ে কাজ শুরু করে দিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন বা একদিন পরপর আপনার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অভিহিত করুন। ক্লায়েন্টের কোন চাহিদা না বুঝতে পারলে যত দ্রুত সম্ভব তার সাথে যোগাযোগ করুন। ক্লায়েন্টকে সরাসরি ইমেইল না করে সবসময় চেষ্টা করবেন ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের সাহায্যে যোগাযোক করুন। এতে পরবর্তিতে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলা করতে পারবেন।
৪. প্রতি সপ্তাহের স্টেটাস রিপোর্ট
রেন্ট-এ-কোডারে বড় কাজগুলোর জন্য প্রতি শুক্রবারে কাজের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে হয়। এজন্য ওয়েবসাইটে প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে "File Weekly Status Report" বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনার মন্তব্য দিন। কোন কারনে আপনি যদি স্টেটাস রিপোর্ট না দেন তাহলে আপনার রেংকিং-এর মোট স্কোর থেকে ১০০০ স্কোর বাদ দেয়া হবে। ফলে রেংকিং-এ আপনি অন্যদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়বেন।
৫. কাজ জমা দিন
কাজ শেষ হবার পর দেরি না করে সাইটে গিয়ে সমস্ত কাজ zip করে আপলোড করে দিন। খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি ডেডলাইনে উল্লেখিত সময়ের পূর্বেই কাজ জমা দিতে পারেন। কাজটি যদি হয় ওয়েবসাইট তৈরি করা তাহলে অনেক সময় ক্লায়েন্টের সার্ভারে সাইটি আপলোড এবং সেটাপ করে দিতে হতে পারে।
৬. ক্লায়েন্ট কাজ গ্রহণ করবে
এরপর ক্লায়েন্টের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করুন। কোন পরিবর্তন থাকলে ক্লায়েন্ট আপনাকে জানাবে। আর ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে সে সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে কাজটি গ্রহন করবে যা ইমেলের মাধ্যমে সাথে সাথে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। একই সাথে এসক্রো থেকে টাকার একটি অংশ সাইটে আপনার একাউন্টে জমা হবে। আরেকটি অংশ (১০% বা ১৫%) সাইটটি ফি হিসেবে রেখে দেবে।
৭. রেটিং এবং মন্তব্য করুন
এবার প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে ক্লায়েন্টকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রেটিং করুন এবং একটি মন্তব্য দিন। ক্লায়েন্টের ব্যবহারে আপনি সন্তুষ্ট থাকলে তাকে ১০ রেটিং দিন, এতে ভবিষ্যতে সে আপনাকে আরো কাজ দিবে। ঠিক একইভাবে ক্লায়েন্টও আপনাকে একটি রেটিং এবং মন্তব্য দিবে যা আপনার প্রোফাইলে সারাজীবন থাকবে। ভবিষ্যতে অন্য ক্লায়েন্টরা এই রেটিং এবং মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে কাজ দিবে। একবার রেটিং দেবার পর তা কখনওই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই ক্লায়েন্ট কাজ গ্রহণ করার পূর্বে তাকে জিজ্ঞেস করে নিন যে সে আপনার কাজে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট কিনা এবং আপনাকে ১০ রেটিং দিচ্ছে কিনা। যদি সে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে আলোচনার মাধ্যমে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে দিন।
অর্থ তোলার উপায়সমূহ
একটি কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করার পর আপনার পাওনা টাকা ফ্রিল্যান্সিং তাদের সার্ভিস চার্জ রেখে বাকিটা ওই সাইটে আপনার একাউন্টে জমা করে দেয়। তারপর মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে আপনি সর্বমোট টাকা বিভিন্ন উপায়ে দেশে নিয়ে আসতে পারেন। এখানে টাকা উত্তোলনের কয়েকটি কার্যকরী পদ্ধতিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার
অর্থ তোলার একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে টাকা বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি এসে জমা হয়ে যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি, প্রতিবার টাকা উত্তোলনে ৪৫ থেকে ৫৫ ডলার খরচ পড়বে। এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রদান করতে হবে:
1.আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ব্যাংক এর ঠিকানা, ব্যাংক এর SWIFT Code ।
2.ফ্রিল্যান্সিং সাইটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশের একটি ব্যাংক এর নাম যা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করবে। এজন্য আপনি আপনার ব্যাংক এ গিয়ে জেনে নিন তারা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংক এর মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে। এবং
3. এরপর মধ্যবর্তী ওই ব্যংক এর Routing নাম্বার আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে যা আপনি ব্যাংকটির ওয়েবসাইট এ পেয়ে যেতে পারেন। ব্যাংক এর সাইটে না পেলে Google এ সার্চ করে পেয়ে যেতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই নাম্বারকে বলা হয় ABA Routing Number।
স্নেইল মেইল চেক
এটি তুলনামূলকভাবে একটি ঝামেলামুক্ত কিস্তু সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি। আপনার মোট আয় যদি ১০০ ডলারের এর উপর হয় তাহলে চেকের মাধ্যমে সাধারন চিঠিতে পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে প্রতিবার খরচ পড়বে মাত্র ১০ ডলার। তবে চিঠি আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আর চেকটি আসবে ডলার-এ, তাই এটিকে টাকাতে রূপান্তর করতে হলে আপনার ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে।
পে-অনার ডেবিট কার্ড
উপরের উল্লেখিত দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer Debit Card। সম্প্রতি প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই MasterCard সার্ভিসটি চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। এজন্য এককলীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর মাসিক খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৫ এর মত। ATM থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের জন্য খরচ পড়বে ২ থেকে ৩ ডলার। এজন্য প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ওই সাইটের মাধ্যমে Payoneer সাইটে একটি একাউন্ট করতে হবে। তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি MasterCard পৌছে যাবে। কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ডটি সচল করতে হবে এবং ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে। পরবর্তীতে এই নাম্বারের মাধ্যমে যেকোন ATM থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এখানে বলে রাখা ভাল বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক এর ATM এই কার্ড সাপোর্ট করে না। স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক এর ATM থেকে আপনি সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারেন।
ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য কয়েকটি তথ্য
অনলাইনে যত ধরনের কাজ পাওয়া যায় তার মধ্য সবচেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে৷ ওয়েবসাইট তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ওয়েবসাইট ক্লোন, টেম্পলেট বা ওয়েবসাইটের জন্য ডিজাইন তৈরি করা, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও ইত্যাদি এর মধ্যে অন্তুভু্ক্ত৷ ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে সবচাইতে বেশি ব্যবহার হয় পিএইচপি এবং ডাটাবেজ হিসেবে MySQL৷ পিএইচপি অত্যন্ত সহজ একটি ল্যাঙ্গুয়েজ, যা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শেখা সম্ভব৷ এ নিয়ে বাজারে প্রচুর বই পাওয়া যায়৷ আর গুগল-এ সার্চ করে আপনি প্রচুর কোড, টিউটরিয়াল, ওপেনসোর্স স্ক্রিপ্ট পেয়ে যাবেন৷ পিএইচপি এবং MySQL-এর সাথে HTML, Javascript, CSS, XML Jইত্যাদি বিষয়ের ওপরও ভাল জ্ঞান থাকতে হবে৷ এজন্য আপনি http://www.w3schools.com সাইটের সাহায্য নিতে পারেন৷
পিএইচপি এবং MySQL শেখার পর এবার নিজে কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন৷ সাইটের আইডিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করুন এবং এক বা একাধিক ওয়েবসাইটের ক্লোন করার চেষ্টা করুন৷ এতে আপনি একটি ওয়েবসাইটে কী কী ফিচার থাকতে পারে, সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন৷ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা হিসেবে এই কাজগুলো উল্লেখ করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টকে আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলোর স্ক্রিনশট দেখাতে পারেন৷
অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি না করে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরনের ওপেন সোর্স স্ক্রিপ্ট পছন্দ করে৷ জনপ্রিয় কয়েকটি স্ক্রিপ্ট হচ্ছে osCommerce, ZenCart, Joomla, Drupal, Wordpress ইত্যাদি৷ এই স্ক্রিপ্টগুলোকে পরিবর্তন করা, নতুন মডিউল বা ফিচার যোগ করা, ডিজাইন পরিবর্তন করা ইত্যাদি নিয়ে অসংখ্য কাজ পাওয়া যায়৷ আপনি শুধু এরকম এক বা একাধিক স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন৷ এমন অনেক সফটওয়্যার ফার্ম আছে, যারা কেবল Joomla বা sCommerce-এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের এবং দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির একটি শক্তিশালী মাধ্যম৷ এই পদ্ধতিতে দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে৷ বর্তমান যুব সমাজ যেখানে বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত, সেখানে আপনি নিজেই হয়ে উঠতে পারেন অন্যের চাকরিদাতা৷ খুবই সামান্য মূলধন আর কয়েকজন দক্ষ কর্মী নিয়ে আপনিও চালু করতে পারেন একটি সফটওয়্যার ফার্ম বা ডাটা এন্ট্রি হাউজ৷ এজন্য দরকার আপনার সাহস, দক্ষতা আর ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ভাল একটি প্রোফাইল৷
শেষ কথা
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কাজে ফ্রিল্যান্সারের স্বাধীনতা থাকে৷ ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছে মতো কাজ বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে৷ একজনফ্রিল্যান্সার নিজের সুবিধামতো সময় বিবেচনা করেও কাজ বেছে নিতে পারে৷ আর এই কাজের জন্য সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, যেকোনো পেশার লোক বা চাকরিজীবী শুধু প্রোগ্রামিং বা সংশ্লিষ্ট কাজ শিখেই আউটসোর্সভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন৷এখানে যোগ্যতার মাপকাঠী হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে শাখায় কাজ করতে চান, সেই বিষয়ে আপনি কতটুকু জানেন৷ অন্যকোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কাজ খুবই উপযোগী৷
বলার অপেক্ষা রাখে না, নয়-এগারোর পর থেকে পুরো বিশ্বেই আইসিটি খাতের লোকেরা কর্মপরিধি সীমিত করে দিয়েছিল৷ তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে৷ পুরো বিশ্বের মতো এদেশেও কমপিউটার বিজ্ঞান বা কমপিউটার প্রকৌশলী অনুষদের ছাত্রসংখ্যা কমেছে৷ এই সময়ে আইসিটি খাতে কাজও কমে গিয়েছিল৷ এসব অনুষদের ছাত্রদের মধ্যে এক ধরনের হীনম্মন্যতা এখনো কাজ করে৷ আমাদের দেশের মতো দেশে যেখানে ভালো চাকরি বা কাজের পরিধি বেশ কম, সেখানে উন্নত বিশ্বে শুধু আইসিটি নয় যেকোনো অনুষদের ছাত্ররাই পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে নিজ নিজ বিষয় সংশ্লিষ্ট পার্টটাইম কাজ করে উপার্জন করতে পারে৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ কাজ করে ছাত্ররা তাদের নিজ নিজ টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারে৷ দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ প্রায় নেই বললেই চলে৷ অথচ আমাদের পাশের দেশ ভারতেও আইসিটি সংশ্লিষ্ট অনুষদে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ পাওয়া যায়৷ পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের কাজে প্রধান সুবিধা হচ্ছে ছাত্ররা নিজেদের ভবিষ্যতযোগ্যতা সম্বন্ধে সচেতন থাকতে পারবে৷ প্রযুক্তিভিত্তিক যেকোনো বিষয়েই যা খুব জরুরি৷
আমাদের দেশে ছাত্রদের জন্য ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং নতুন করে আশার সৃষ্টি করে৷ আইসিটির হাজার হাজার ছাত্রদের মধ্যে এমন হতাশা কাজ করে যে, আগের চেয়ে এই খাতে কাজ কমছে এবং এই কাজ কমার প্রবনতা কমাতে পারে অনলাইন ফ্রিল্যান্স৷ শুধু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে নিজেই আইসিটিভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে এমন নজির খুব কম নয়৷ আর আমাদের পাশের দেশসমূহে ফ্রিল্যান্স খুব জনপ্রিয়৷ শুধু ভালো ইন্টারনেটের অভাবে আমরা অনেকদিন ধরেই এই খাত থেকে পিছিয়ে ছিলাম৷ যদিও ভালো ইন্টারনেট সংযোগের পুরো সুবিধা আমরা এখনো পাচ্ছি না৷ কজ
কেস স্টাডি - ০১
আউটসোর্সিং করে বাংলাদেশে অনেকেই বেশ আয় করছে
আমি এ. কে. এম. মোকাদ্দিম৷ বয়স ২৬ বছর৷ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালরে সিএসই বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষে এখন একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করছি৷
ফ্রিল্যান্স এখন আমার কাছে নেশার মতো৷ ২৫ বছর বয়স থেকে আমি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের সাথে জড়িত৷ শুরুতে নির্দিষ্ট কারো কাছ থেকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের ব্যাপারে শুনিনি৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় কয়েকজন বড় ভাই পরামর্শ দিয়েছিলেন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করতে৷ তবে আমার শুরু তারও অনেক পরে৷ তার আগে বাংলাদেশের কাজ করতাম৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং শুরু করা বলতে শুরু নয়৷ শুরু করতে চাইলেই কেউ শুরু করতে পারে না৷ প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হয়ই৷ কাজ পেতে একটু কষ্ট হয়৷ কারণ, কম রেটিং পাওয়া বা রেটিং ছাড়া কাউকে ক্লায়েন্টরা সহজে কাজ দিতে চায় না৷ আমিও অনেক পরে কাজ পেয়েছি৷ শুরুতে অনেক সময় ক্লায়েন্টের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ না করলে বা দেরি হলেও কাজ ছুটে যেত৷ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং জগতের অনেক টার্মসও বুঝতাম না৷ তাই কমিউনিকেশনে একটু সমস্যা হতো৷ হয়ত ক্লায়েন্ট বলছে এক সফটওয়্যারের কথা, আর আমি ভাবছি অন্যটি৷ এরকম আরো অনেক সমস্যাই হয়েছে৷ তবে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং শুরুতেই যা সমস্যা৷ কিন্তু একবার ভালো রেটিং করতে পারলে বা পুরো ব্যাপারটি বুঝে গেলে আর সমস্যা হয় না৷ আমার ভালো রেটিং পাবার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে অনেকেই এখন বাংলাদেশে বসে আয় করছে৷ বাংলাদেশে বসে আয় করতে কোনো সমস্যা নেই৷ এক সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়া৷ কারণ, এদেশের মানুষের স্বপ্ন থাকে পড়াশোনা শেষে ব্যবসায় বা চাকরি করা ৷ আর ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এগুলোর সাথে ঠিক মেলে না৷ বেশিরভাগ মানুষই ভাবে এটা একটি ক্ষণস্থায়ী কাজ৷ অনেকেই বুঝে না ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কী তবে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে৷ ইদানীং অনেকেই এটাকে ভালো চোখে দেখছে৷
কাজশেষ হলে টাকা পাওয়া যায়৷ উন্নত বিশ্বের সুযোগ-সুবিধা কম বলে বাংলাদেশে টাকা আনা একটু ঝামেলার৷ কারণ, বাংলাদেশে paypal নেই৷ বেশিরভাগ পেমেন্ট হয় এর মাধ্যমে৷ টাকার জন্য থার্ড পার্টি সার্ভিস যেমন Xoom, Western Union দিয়ে টাকা আনতাম প্রথম দিকে৷ এখন অবশ্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা আনি৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংকে পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নেয়া যায়৷ এতে মাসিক আয়ের কোনো ঠিক নেই৷ যদি সময়মত কাজ পাওয়া যায় আর ঠিকমত কাজ ডেলিভারি দেয়া যায়, তবে 800 থেকে 1200 ডলার আয় করা সম্ভব প্রতিমাসে৷ এটি নির্ভর করছে অভিজ্ঞতা ও সুনামের ওপর৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করতে চাইলে যে শুধু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংই করতে হবে বা এর প্রোগ্রামিং জানতেই হবে এমন কোনো কথা নেই৷ কোনো কিছু না জানলে ডাটাএন্ট্রির মতো কাজ করা যেতে পারে৷ ঘরে বসে ইন্টারনেটে শুধু সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, পেইন্টিং, মার্কেটিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং, ক্যাড, ফটোগ্রাফি, কনসাল্টিং, কাস্টমার সাপোর্ট ইত্যাদি কাজ করে আয় করা যায়৷ তবে শুধু কাজ পেলাম আর কাজ করলাম তা নয়৷ ফ্রিল্যান্সে আসলে ডেভেলপমেন্টের কাজ করা ছাড়া অন্যান্য কাজ যেমন ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং, নতুন কাজ যোগাড়- এসব করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হয়৷ এজন্য ভালোই সময় দিতে হয়৷ প্রতিদিন প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টার মতো সময় দিতে হয়৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে রেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ রেটিংয়ের ব্যাপারে সবাইকেই মনোযোগী হতে হবে৷ তা না হলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং না করাই ভালো৷ আমার রেটিং 10/10৷ আর http://www.script-lance.com -এ সর্বোচ্চ ৠাংকিং ছিল 221৷ বর্তমানে এটা কমে গিয়ে 191-এ নেমেছে৷ কারণ, আমি এখন বিভিন্ন সাইটে কাজ করছি৷ রেটিং বাড়াতে হলে টাইমলি বাগ ফ্রি সফটওয়্যার ডেলিভারি দিতে হবে, অবশ্যই চাহিদা পূরণ করতে হবে৷ এসব করলে রেটিং বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তারপরও সবকিছুই নির্ভর করে গ্রাহকের ওপর৷ কারণ রেটিং দেয়ার ক্ষমতা তার হাতে৷
কাজ করতে করতে অনেক মজার ঘটনাতো ঘটে৷ আমার ক্ষেত্রে তেমন কোনো মজার ঘটনা নেই আসলে৷ তবে মাঝে মাঝেআমি কোনো কোনো প্রকল্প প্রস্তাবনা দিলে হয়ত দেখতাম আমার কোনো বন্ধুও সেখানে প্রোপোজাল দিয়েছে, পুরোটাই অনিচ্ছাকৃত৷কিন্তু একটা স্নায়ুযুদ্ধ ভর করে মনের মধ্যে৷ তবে এক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের কোনো বিকল্প নেই৷ অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সাররা অনেকপেশাদার৷ আমরা সে তুলনায় পিছিয়ে আছি৷
বাংলাদেশে এটার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল৷ এটা পুরোপুরি মেধা ও সৃজনশীলতার ব্যাপার৷ আমাদের দেশের ছেলেদের কোয়ালিটিঅনেক ভালো৷ শুধু কাজে লাগাতে হবে৷ এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে৷ ইদানীং অনেকবাংলাদেশীই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসছে৷ এক বছর আগেও এর হার বেশ কম ছিল৷ ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হচ্ছে৷ তবে এ কাজের জন্যবিদ্যুত্ ও ইন্টারনেট অপরিহার্য অংশ৷ তাই এ দুটো বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷
নতুন যারা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করতে চাচ্ছে তাদেরকে বলব তাড়াহুড়া না করতে৷ একটু সময় লাগতে পারে৷ তবে সফলতা অনিবার্য৷ লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।
কেস স্টাডি - ০২
বাংলাশেফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের ভবিষ্যত্ খুবই উজ্জ্বল
আমি এ. এইচ. এম. শাহনূর আলম শাওন৷ চট্টগ্রারে সি, ইউ, ই, টি, থেকে সিএসই বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছি৷ আমার বয়স ২৬, এখন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করছি৷
সর্বপ্রথম আমি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি ফিচার পড়ে জানতে পারি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেকাজ করে আয় করা সম্ভব৷ তখন থেকেই আমার চিন্তা ছিল কিভাবে এর মাধ্যমে সফল হওয়া যায়৷ যেই ভাবা সেই কাজ৷ বলাযায়, এর পর থেকে এক্ষেত্রে আমার অভিযানের শুরু৷ আমি প্রায় আড়াই বছর ধরে এই আউটসোর্সিংয়ের সাথে জড়িত৷
প্রথম যখন আমি কাজ শুরু করি, তখন আমার আশপাশে এমন কেউ ছিলো না, যার কাছে আমি নতুন কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারি৷ যার কারণে নিজেকেই সব সার্চ করে সমাধান বের করতে হতো৷ এতে করে অনেক সময় দেখা গেল, খুব ছোট একটা সমস্যায় আমাকে অনেক বেশি সময় খরচ করতে হয়েছে৷ শুরুতে কোনো গাইডলাইন পাইনি৷ তবে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷
যে সমস্যাগুলো আমাকে মারাত্মকভাবে ভোগায় সেগুলো হলো-
০১. ধীরগতির ইন্টারনেট-যা আমাদের প্রোডাক্টিভিটি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলে৷ যেমন ধরুন, আমাকে একটা সাইটের বাগ ফিক্সড করার জন্য বলা হলো, আর সময় দেয়া হলো ২ ঘণ্টা৷ কিন্তু ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে সাইটটি ব্রাউজ করে বাগ পয়েন্ট আউট করতেই আমার লেগে গেল ৯০ মিনিট৷ দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকলে একই কাজ ৩০ মিনিটে করা সম্ভব৷
০২ বিদ্যুত্ সমস্যা হচ্ছে আরেকটি প্রধান সমস্যা৷ ধরা যাক কোনো জরুরি কাজের ডেডলাইন হচ্ছে ৩ দিন এবং আমার সেটি ৩ দিনের মধ্যে শেষ করতে গেলে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে৷ দেখা গেল পরবর্তী ৩ দিনে সব মিলিয়ে বিদ্যুত্ থাকল ১০ ঘণ্টা৷
মোবাইল ডিকশনারী (সিম্বিয়ান এবং জাভা বেসড) | Mobile Dictionary (Symbian and Java based)
লিংক http://imbangalee.blogspot.com
ওয়াইফাই কী ও কিভাবে কাজ করে | How WiFi works
WLAN বা ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক কী:
একটি সীমিত এলাকা অর্থাৎ একই ভবন, পাশাপাশি অবস্থিত ভবন অথবা একটি অফিস বা এপার্টমেন্টে অবস্থিত কমপিউটারসমূহ, প্রিন্টার ও অন্য কোন বিশেষ ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে তারের পরিবর্তে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে স্থাপিত আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থাকে ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) বলে।
উপরের ছবিটি একটি ব্রডব্যান্ড লাইন থেকে একাধিক কমপিউটারে ইন্টারনেট কানেকশনের একটি ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। এই ধরনের নেটওয়ার্কে প্রয়োজন একটি মডেম ও একটি ওয়ারলেস রয়টার। যে কোন কমপিউটারে ওয়্যারলেস এডাপটার অথবা ওয়্যারলেস কার্ড ইন্সটল থাকলে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করতে গারবে।
Wi-Fi ("wireless fidelity") হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের টার্ম বা ট্রেড মার্ক যেখানে ওয়াইফাই এলাইয়েন্স নামে একটি কমিটি কর্তৃক পরীক্ষীত ও অনুমোদিত হার্ডওয়্যার ও স্পেসিপিকেশন ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য বিভিন্ন কোম্পানীর ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের ডিভাইসরগুলি যাতে পরষ্পরের সাথে কাজ করতে পারে। এছাড়া নেটওযার্কটির কনফিগারেশনসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়ের একটি স্ট্যান্ডার্ড মান নির্ধারণ করা। ব্যাবহারকারীদের জন্য সুবিধা হচ্ছে, যদি কারো মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে Wi-Fi এডাপটার থাকে, তবে এটি যে কোন Wi-Fi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি সব ওয়াইপাই নেটওয়ার্ক হচ্ছে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক, কিন্তু সব ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ওয়াইপাই নেটওয়ার্ক নয়।
একটি ওয়াইফাই রয়টার/একসেস পয়েন্ট/এন্টিনার মাধ্যমে কোন বিশেষ স্থানে যখন ওয়ারলেস ইন্টারনেট কানেকশনের সুবিধা প্রদান করা হয় তখন সেই স্থানকে Hot Spot বলা হয়। একাধিক একসেস পয়েন্ট/এন্টিনার মাধ্যমে সৃষ্ট হটস্পটগুলোকে সমন্বয় করে যখন বড় এলাকা ভিত্তিক একটি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তখন সেই এলাকাকে Wi-Fi Zone বলা হয়।
মোবাইল ব্রডব্যান্ড বনাম ওয়াইফাই হটস্পট: মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা সাধারণত মোবাইল ফোনের কোম্পানীগুলো দিয়ে থাকে। সুতরাং প্রায় সব জায়গা থেকে (মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক) মোবাইল ফোন বা ওয়ারলেস মডেমের সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া যায়। ওয়াইফাই হটস্পটে এই সুযোগ একটি সীমিত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইদানীং বড় বড় শহরের বাস/ট্রেন স্টেশন, শপিং সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে ওয়াইফাই জোন সৃষ্টি করা হচ্ছে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের মাসিক চার্জ বেশী। এছাড়া একদেশ থেকে অন্য দেশে গেলে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিস কাজ করে না, যদি কাজ করে তবে চার্জ হয় খুবই বেশী। তাই নিজস্ব ল্যাপটাপ বা মোবাইল ফোন থেকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য ওয়াইফাই হটস্পট থেকে ইন্টারনেট কানেকশন সস্তা। ইদানিং বিভিন্ন শহরের ওয়াইফাই হটস্পটের তালিকা নেটে পাওয়া যায়।
যারা ব্যাবসা ভিত্তিক কাজে ওয়াইফাই নেটওযার্ক ব্যাবহার করতে চান তাদের জন্য নিম্নে কিছু লিংক দেয়া হল।
PolkaSpots
W-HotSpot Business
VPN Network
সেটাপ দিন জুমলা এক অনবদ্য সিএমএস | Bangla | Bengali Joomla Setup Turorial
জুমলা হচ্ছে এমন একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সি.এম.এস) যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবপেজ নির্মান ছাড়াও শক্তিশালী ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করতে পারবেন।
তো আসুন দেখা যাক কিভাবে আপনি আপনার ওয়েব সার্ভারে জুমলা সেটাপ দিতে পারবেন।
প্রথমে আপনার হোস্টিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হউন যে তারা মাইএসকিউএল সাপোর্ট করে কিনা। তারপর তাদের নিয়মানুযায়ী একটি ডাটাবেজ তৈরী করুন। ডাটাবেজটি যেকোন নামে তৈরী করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, তৈরীকৃত ডাটাবেজের জন্য যে ইউজার তৈরী করবেন, তার যেন ডাটাবেজটির উপর সব ধরনের কন্ট্রোল থাকে।
আর যদি আপনি আপনার পিসিতে সেটাপ দিতে চান তাহলে আপনাকে আপনার পিসিতে ভার্চুয়াল সার্ভার সেটাপ দিতে হবে। ভার্চুয়াল সার্ভার সেটাপ প্রক্রিয়া পরবর্তীতে বিস্তারিত বলব।
ধরলাম আপনি মাইএসকিউএল ডাটাবেজ ক্রিয়েট করেছেন। এরপর আপনি জুমলার সাইট থেকে (http://www.joomla.org/download.html) জুমলা আপনার পিসিতে নামিয়ে আনজিপ করুন। তারপর সেই ফোল্ডারের সব কন্টেন্ট আপনার সার্ভারে আপলোড করুন। আপলোড করার ক্ষেত্রে সুবিধা হয় যদি আপনি কোন এফটিপি টুল ব্যবহার করেন। যাই হোক, আপলোড করার পর আপনি এই ছবিটির মত একটি দৃশ্য পাবেন। এটাই জুমলা সেটাপের প্রথম ধাপ।
এরপর আপনার কাঙ্খিত ভাষা নির্বাচন করুন। তারপর আপনার সিস্টেম চেক করা হবে, তারপর দেখানো হবে লাইসেন্স। তারপর আপনাকে আপনার তৈরীকৃত ডাটাবেজের নাম, ওই ডাটাবেজের ইউজারের নাম, পাসওয়ার্ড, আপনার হোস্ট নেইম লিখতে হবে। ডাটাবেজ ও ইউজার ঠিকমত করা থাকলে আপনাকে পরের পাতায় নিয়ে যাওয়া হবে।
এরপর আপনাকে এফটিপি কনফিগারেশন নির্ধারন করে দিতে বলা হবে।
এরপর আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে মেইন কনফিগারেশন পেইজে।
এখানে আপনাকে সাইটনেইম, এডমিন ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড দেয়া, স্যাম্পল ডাটা ইন্সটল ইত্যাদি কাজ করতে হবে।
এরপর আপনি নিচের পেইজটি পাবেন।
এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হল আপনার সার্ভার থেকে ইন্সটলেশন নামে যে ফোল্ডারটি আছে সেটি ডিলিট করে দেয়া।
ব্যস............হয়ে গেল জুমলা সেটাপ দেয়া।
এখন আপনার এডমিন ইউজার একাউন্ট দিয়ে লগিন করে ইচ্ছেমত ব্যবহার করুন জুমলা, এ পাওয়ারফুল সিএমএস।
তৈরী করুন নিজের অনলাইন টি.ভি. চ্যানেল। Make Your Online TV channel
তৈরী করুন নিজের অনলাইন টি.ভি. চ্যানেল। এজন্য প্রথমে এই লিন্কে যান।
তারপর পরবর্তী ধাপে গিয়ে উদাহরন হিসেবে থাকা ভিডিও গুলোর লিংক এর জায়গায় আপনার পছন্দের কোন ভিডিও এর ইউটিউব বা মাইস্পেস লিংক বসিয়ে দিন। বা আপনার নিজস্ব ভিডিও ইউ টিউবে আপলোড করে তার লিংক বসিয়ে দিন এখানে।
এরপর আপনার টি.ভি. চ্যানেল এর নাম এবং লোগো দিন এরপর আপনার ইমেইল এ্যাড্রস দিয়ে এর কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে একের পর পর এক ভিডিও এর লিংক এড করুন। আর তার পর তা প্লে লিস্টে এড করুন রেন্ডমলি প্লে সিলেক্ট করে সেভ করুন এবার আপনার অনলাইন টি.ভি. চ্যানেলটি ভিজিট করে দেখুন আপনার দেয়া ভিডিও গুলো পর্যায়ক্রমে প্লে হচ্ছে।
Settings -> Broadcasting Options এ ক্লিক করুন। আপনি টিভি চ্যানেল কোথায় শেয়ার করবেন সে অনুযায়ী Presets নির্বাচন করে Load বাটনে ক্লিক করুন। যেমন: ল্যানে শেয়ার করার জন্য LAN প্রিসেট লোড করতে পারেন। OK দিন। bcast port বাই-ডিফল্ট 8080 থাকে। যদি আপনার পিসিতে অন্য কোন সার্ভিস এই পোর্ট ব্যবহার করে তাহলে 2033 বা অন্য কিছু দিন। কোন এরর না দেখালে 8080 পরিবর্তনের দরকার নেই। এখানে উল্লেখ্য যে, Star Media Center একসাথে সর্বোচ্চ ৫ জন কে স্ট্রিমিং ভিডিও শেয়ার করতে পারে।
Sources -> Broadcast -> From TV তে ক্লিক করুন। স্ট্রিমিং শুরু হয়ে যাবে।
এবার ল্যানের যে কোন পিসিতে Windows Media Player চালু করুন। খেয়াল রাখবেন Windows Media Player এর ভার্শন যেন ৯ বা তার অধীক হয়। পুরনো ভার্শন হলে আগে আপগ্রেড করে নিন। এটা উইন্ডোজ ২০০০ ব্যবহারকারীদের করতে হতে পারে। যারা উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক-২ বা তদুর্দ্ধ ভার্শন ব্যবহার করেন তাদের কিছুই করতে হবে না। File -> Open URL... এ ক্লিক করুন। Open: এ লিখুন mms://x.x.x.x:8080 । এখানে x.x.x.x হবে যে পিসিতে টিভিকার্ড শেয়ার করেছেন তার আই পি এড্রেস আর আপনি যদি bcast port এ 8080 এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম্বার দিয়ে থাকেন তাহলে 8080 পরিবর্তে তা লিখবেন। OK দিন। সবকিছু ঠিক থাকলে শেয়ার করা চ্যানেলটি দেখতে পাবেন।
J2ME
http://devlinslab.blogspot.com/2007/11/using-custom-fonts-or-bitmap-fonts-part.html
J2Me game development
http://devlinslab.blogspot.com/
PHP & Web Services
http://www.ferdychristant.com/blog/articles/DOMM-6J2QFF
PHP Client for Java-based webservice
http://oleksiy.wordpress.com/2007/08/22/php-client-for-java-based-webservice/
Photo Funia
How to make wave services for Java in NetBeans
1. Open a new Project where category is wave and project type is wave application. Select Apache Tomcat as server.
2. Add a new ‘Web service’ file to your project (in ‘Source Packages’ > ‘your package’).
3. Add required operations (methods) to the new web service file.
Got to ‘Web Services’ from tree view. There you will see that a file is created corresponding to your newly created ‘Web service’ file. Click right mouse on that file and go to property. A window will appear. Copy the string bellow ‘NewWebServices’ heading from that window. E. g. - “http://localhost:8084/WebApplication1/NewWebService?wsdl.” We call it wsdl string.
Run the project.
Client view
For JSP:
1. Open a new Project where category is wave and project type is wave application. Select Apache Tomcat as server.
2. Add a new ‘Web Service Client’ to your project. When you are going to create new ‘Web Service Client’ a window will appear. Select ‘WSDL URL’ from radio button group. Paste the wsdl string “http://localhost:8084/WebApplication1/NewWebService?wsdl” to ‘WSDL URL’ field. ‘Web Service References’ will be created.
3. Explore ‘Web Service References’. You will see all method references under ‘YourWebServicePorts’. Drag your desired method name (e.g. getMyName()) and put it to desired code position of .jsp (e.g. index.jsp) file. Necessary code to access the method will generate automatically. Run the project.
For PHP:
Install 'WampServer2.0a(2).exe' in your local host. Do enable 'php_soap.dll' in php.ini file of both 'C:\wamp\bin\php\php5.2.5' and 'C:\wamp\bin\apache\apache2.2.6\bin' directory. Here doing enable means deleting ';' from front of the 'php_soap.dll' statement.
Example 1:
Job Site Address
BDJobs: http://www.bdjobs.com
JobsA1: http://jobsa1.com/
bdhotjobs.com: http://www.bdhotjobs.com/
Online Radio
Bangla Radionet24
http://www.radionet24.com/
Washington Bangla Radio:
http://www.washingtonbanglaradio.com/
Online Hindi Radio:
http://www.onlinehindiradio.com/
Hindi smashits:
http://radio.smashits.com/
http:bbc radio:
http://www.bbc.co.uk/radio/
Nice Games Links
Sudoku:
http://apps.facebook.com/websudoku/?ws_level=2&fb_sig_in_iframe=1&fb_sig_locale=en_US&fb_sig_in_new_facebook=1&fb_sig_time=1243153220.2548&fb_sig_logged_out_facebook=1&fb_sig_added=0&fb_sig_api_key=369e1b2e51daf49ec3b47e71cb1d2c8e&fb_sig_app_id=2360124026&fb_sig=67c034e01c3bee683e8a1ae22bd40484&auth_token=99b471720927c4dfd15fd8e3489e1756&installed=1
Word Game:
http://apps.facebook.com/wordchallenge/?pf_ref=sb&auth_token=14790222f66fd2890a8b2defc02d8f26&installed=1
Search Result in 3D Cube
Interaction between JavaScript and PHP
JavaScript cannot directly interact with PHP because the PHP will always be executed first by the server and then sent to the client's browser. JavaScript can only pass information to PHP.
Since PHP is always executed before JavaScript then the JavaScript variables must be passed through a form or the URL. Those are the only two options. Granted, you can use AJAX, but that still uses GET or POST. So, to retrieve these JavaScript variables, on the server-side, you will have to use $_GET or $_POST.
PHP variables can be passed to JavaScript. Anything you echo or print to the browser becomes part of the direct source code. Simply echo the JavaScript you want.
JavaScript can not call a PHP function but PHP can call a JavaScript function. Just output a call to the function. You may also pass parameters this way.Hibernate Tutorial
http://www.netbeans.org/kb/docs/java/hibernate-java-se.html
Hibernate Annotation:
http://wiki.netbeans.org/HiberanteAnnotations
My favourite hibernate interview questions with answers:
http://www.javalobby.org/java/forums/t104442.html
Download E Books | Bengali E Books | Bangla E Book
বাংলা বই download:
http://www.murchona.com/
http://freebooks.50webs.com/
http://enterbangla.blogspot.com/
http://www.calcuttaglobalchat.net/
http://www.boipara.com/
http://www.boi-mela.com/
http://banglalibrary.com/
http://www.banglakitab.com/
http://www.anirban.com
http://www.somoy.com/Download1.htm
http://bangla.delda.com/
http://ancbooks.com/
http://vubon.com/
http://www.amazon.com/
http://www.bdbdangla.com
http://www.calcuttaglobalchat.net
http://www.banglabook.com/
http://www.esnips.com/
৫০৪ টি ফ্রি বই
৫০৪টি বই ৬৩ জন লেখকের একদম ফ্রি। ফ্রি বাংলা গান সহ বিশাল একটা সংগ্রহ।বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
http://free.com.bd/books/index.php
কেন কিনবেন বই যখন ফ্রী পাচ্ছেন?
অনলাইনে প্রথম ই-বুক ফেয়ারের কথা খেয়াল আছে কি আপনার? গত ২০০৬ সালের জুলাই চার তারিখ থেকে শুরু করে এক মাসব্যাপী চলেছিল এই অনন্য ও ব্যতিক্রমধর্মী অনলাইন বই মেলা। কম্পিউটারে সংগ্রহ করা, পড়া ও ব্যবহার করা যায় এমন বইকে বলা হয় ই-বুক। প্রজেক্ট গুটেনবার্গ এবং ওয়ার্ল্ড ই-বুক লাইব্রেরির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রায় তিন লরেও বেশী ই-বুক সেখানে প্রদর্শিত হয়। এর সবগুলোই ছিল পাঠকদের জন্য একদম ফৃ।
ই-বুকের পোকা যারা তাদের জন্য ঐ মেলাটিই শেষ সুযোগ ছিল এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। সত্যিই, এই যুগেও যদি আপনি বই কেনার পোকা হয়ে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই বোঝা উচিত অনলাইনে ফ্রী শব্দটি ফ্রীডম বা স্বাধীনতার ব্যাপক মতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। এক দশক ধরে হয়তো আপনি সংগ্রহ করেছেন প্রায় হাজার খানেক বই ও ম্যাগাজিন। আর মাত্র দুই সপ্তাহে কেবল ই-বুক সংগ্রহ করতে শুরু করার পর দেখা গেল আপনার বইয়ের সংগ্রহশালার সংখ্যা অতিক্রম করে গেছে অনেকখানি, গুণতে গিয়ে হয়তো দুই-তিন হাজার হওয়ার পর বই গোনাগুনির কাজটা আপনি থামিয়ে দেবেন।
প্রায় বছর তিনেক আগেকার কথা যখন আমি ইন্টারনেটের ফ্রী বইয়ের নদীতে ডুব মেরে তুলে আনতাম পছন্দের এবং মজার অনেক ই-বুক আর ভরাতাম আমার হার্ডডিস্ক। আজকে সত্যিই অবাক হই যখন দেখি অনেকেই এটা সম্পর্কে জানেননা এবং এবং কষ্ট পাই যখন কেউ কেউ ভাবেন এই ফ্রী বইগুলো (কিম্বা ই-বুকগুলো) নামকরা লেখকদের বই নয়। আসলে আপনি জেনে বেশ আশ্চর্য্যই হবেন হয়তো যে অনেক নামকরা লেখকদের বিখ্যাত সব সাহিত্য কর্মই আজকাল সাইবার জগতে ফ্রী বিকোচ্ছে। নাম করতে গেলে এসব লেখকদের মধ্যে রয়েছেন সেক্সপীয়ার, কাফকা, ডিকেন্স, দস্তয়ভস্কি, জেমস জয়েস, মার্ক টোয়েন, জ্যক লন্ডন, ও হেনরী আর লেখিকাদের মধ্যে রয়েছেন জেন অস্টেন, এমিলি ডিকসন, জর্জ ইলিয়ট, এ্যনি ব্রন্টি, শার্লট ব্রনটি, অগাথা কৃস্টি, ভার্জিনিয়া উলফ এমনি আরো অনেকই। এমনকি ইচ্ছে করলেই আপনি সংগ্রহ করতে পারেন কুরআন, মহাভারত, রামায়ণ থেকে শুরু করে হোমারের ইলিয়াড এবং ওডিসি, পঞ্চতন্ত্র কিম্বা ঈশপের গল্পগুচ্ছ, প্লেটোর দর্শন কিম্বা বাৎসায়নের কামসূত্র।
তাই পছন্দের বইগুলো আজ থেকেই কালেকশন করা শুরু করুন। ডাউনলোড করা ফাইলগুলো অনেক সময় জিপ করা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে আনজিপ করে নিতে ভুলবেননা। অনলাইন থেকে পাওয়া বইগুলো সাধারনত টেক্সট, এইচটিএমএল এবং পিডিএফ ফরমেটে পাওয়া যায়। টেক্সট ফাইল দেখার জন্য নোটপ্যাড অথবা ওয়ার্ড প্যাড ব্যবহৃত হয় যা উইন্ডোজের সব অপারেটিং সিস্টেমেই ইন্সটল করা থাকে। কিন্তু পিডিএফ ফরমেটের বই পড়তে হলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে অ্যাডবি রিডার বা অ্যক্রোবেট রিডার ইন্সটল করা থাকতে হবে। আপনার সফটওয়্যার কালেকশনে এটা থাকার কথা। না থাকলে ইন্টারনেট থেকে ফ্রী ডাউনলোড করে নিতে পারেন অ্যডবি রীডার বা অ্যক্রোবেট রীডার এর যেকোন একটি ভারশন। অ্যডবি রীডার ফ্রী- ডাউনলোড করতে ব্রাউজ করুন http://www.download.com এর Software সেকশান।
আপনার কম্পিউটারে ই-বুকের সংগ্রহশালা আপনি দু’ভাবে তৈরী করতে পারেন। প্রথমত বিভিন্ন সার্চইঞ্জিন (যেমন গুগল) দিয়ে সার্চ করে। অথবা এই ব্লগে দেয়া ওয়েবসাইট গুলোর অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারেন। আর এক্ষেত্রে শুরুতেই ঢুঁ মারুন - http://www.gutenberg.org
প্রজেক্ট গুটেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল হার্ট বলেছেন তারা আশা করছেন ২০০৯ সালের মাসব্যপী ই-বই মেলায় এক মিলিয়ন বই প্রদর্শিত করতে পারবেন। গুটেনবার্গকে বলা যায় ফ্রী বইয়ের দাদু। ২৫টিরও বেশী ভাষায় প্রায় ১৯,০০০ বই এই সাইট থেকে পাবেন আপনি। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ফেমাস ফিকশন, ছোটদের গল্প, ছড়া ও উপন্যাস, ছোট ও বড় গল্পের সংকলন, ধর্মীয় বই, রাজনীতি, সমাজ ও অর্থণীতির বই, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণামূলক বই, বিভিনড়ব ধরণের রেফারেন্স, এনসাইকোপেডিয়া এবং ডিকশনারী। এই সাইটটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর বিন্যাস বেশ সাদামাটা। স্বেচ্ছাকর্মী ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত ডোনেশনের সাহায্যেই চলে এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি। প্রজেক্টের স্বেচ্ছাকর্মীরা কপিরাইট উঠে যাওয়া বইগুলোকে টুকে নিয়ে রুপান্তরিত করে ই-টেক্সেটে। ভলান্টিয়ারদের সাহায্যের উপর ভিত্তি করেই আগামী ২০১৫ সাল নাগাদ প্রায় এক মিলিয়ন ফ্রী বই পাঠকেদের জন্য তৈরী করতে পারবে বলে আশা করছে গুটেনবার্গ। প্রতিমাসে এই চমৎকার সাইটটি থেকে দুই মিলিয়নেরও বেশী বই ডাউনলোড করা হয়। আপনিও হতে পারেন তাদেরই একজন।
-------
Click This Link
এই ইলেকট্রনিক টেক্সট সেন্টারটি মূলত ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া লাইব্রেরীর। পাঠকদের জন্য আইনগত ভাবে বাধাহীন বইগুলো খুব সহজেই পাওয়া যাবে এখান থেকে। ইংরেজি সাহিত্যের উপর পড়াশুনা করছেন এবং বিশদভাবে ভাবে পড়তে আগ্রহী তাদের বেশ কাজে দেবে সাইটটি। এই সাইটির বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে আপনি পাবেন ইংরেজি সাহিত্যের হাজার হাজার রিসোর্স। ইরেজি নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ, ফিকশন ডাটাবেজ ছাড়াও এতে রয়েছে শেক্সপীয়ারের রচনাবলী, অক্সফোর্ডের ডিকশনারী, বাইবেল, আফ্রিকান-আমেরিকান সাহিত্য এবং দর্শনের উপর লেখা অনেক বই যার সংখ্যা প্রায় সত্তর হাজারের মত।
-------
http://www.planetpdf.com
প্যানেটপিডিএফ এর হোমপেজ থেকে কিক করুন এর ফ্রী ই-বুক সেকশনে। এই চমৎকার সাইটটিতে এডগার অ্যলান পো, লিও তলস্তয়ের ওয়ার এন্ড পীস, এমিলি ব্রনটির ওয়েদারিং হাইটস, থমাস মুরের ইউটোপিয়া, চার্লস ডিকেন্সের গ্রেট এক্সপেক্টেশন্স, জুল ভার্নের অ্যারাউন্ড দা ওয়ার্ল্ড ইন এইটটি ডেজ, ফিওদর দস্তয়ভস্কির ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট, জেমস জয়েসের ইউলিসিস ছাড়াও ছোটদের জন্য ঈশপের গল্প, হ্যন্স কৃশ্চিয়ান এন্ডারসনের রূপকথা, রবার্ট লুই স্টিভেনসনের ট্রেজার আইল্যন্ড, স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের দা লস্ট ওয়ার্ল্ড সহ এমন অসংখ্য বিখ্যাত কাসিক পাবেন। এই সাইটটির বৈশিষ্ট্য হলো এখানকার সব বই-ই পিডিএফ ফরমেটের। ফলে পড়তে ও সংগ্রহ করতে পারবেন অনায়াসেই।
-------
http://www.bibliomania.com
বাইব্লিওম্যানিয়ায় রয়েছে রিড, স্টাডি, রিসার্চ, শপ এবং সার্চ সেকশন। এখানকার রিড সেকশন থেকে খুব সহজেই আপনি আপনার পছন্দের লেখকের বিভিনড়ব আর্টিকেল, নাটক, ফিকশন, ছোট গল্প কিম্বা কাবিতা সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সাইটি থেকে অবশ্য পুরো বই একাবারে ডাউনলোড করতে পারবেননা। বেশীরভাগ বই বিভিন্ন চ্যপ্টারে ভাগ করা আছে। সেই চ্যপ্টার অনুযায়ী পেজ সেভ করতে হবে আপনাকে সংগ্রহের জন্য। ওয়ার্ল্ড ফেমাস লেখকদেও কমবেশী সব লেখাই পাবেন এই চমৎকার সাইটিতে।
-------
http://www.bartleby.com
বেশ প্রশংসিত এবং সাহিত্যের ছাত্র, লেখক, সাংবাদিক এবং এজাতীয় যে কারো জন্য মাস্ট ভিজিট সাইট যেখানে পাবেন বিভিন্ন ইংলিশ রেফারেন্স বুক, এনসাইকোপিডিয়া, ডিকশনারী ছাড়াও সাহিত্যের বিশাল সম্ভার। রেফারেন্স হিসাবে অনলাইনে পড়ার কথা বললেও এর পাশপাশি ফৃ বইও পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকে।
-------
http://www.free-ebooks.net/
এই সাইটটিকে আধুনিক এবং ততটা বিখ্যাত নয় এমন লেখকদের প্লাটফর্ম বলা যেতে পারে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে লেখকরা তাদের কাজগুলোকে তুলে ধরেন পাঠকদের সামনে। চমৎকার এবং মজার কিছু লেখা এখান থেকে সহজেই পেয়ে যাবেন আপনি। নিয়মিত ক্যটাগরী ছাড়াও এখানে আপনি পাবেন খেলাধুলা, স্ব্যাস্থ্য, ট্রাভেলিং, ইতিহাস, ফ্যাশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের উপর চমৎকার কিছু বই।
-------
Click This Link
এদের দাবী অনুযায়ী প্রায় আড়াই হাজারের মতো ফৃ বই পাবেন আপনি এখানে।
-------
http://www.ebook.com.au/freebooks.htm
এই সাইটিতে ফ্রী ই-বুক পাবার অনেক লিংক প্রদর্শিত হয়েছে। এই বইগুলো ফৃ কারণ এগুলোর স্বত্ত পাঠকদের কাছে চলে গেছে নয়তো অথবা কপিরাইট মালিকানাহীন লেখা কিম্বা কপিরাইটহীন অথবা লেখক অনেক আগে মারা গেছেন। আর এর অর্থ হলে বইগুলো যত ইচ্ছা বিলানো সম্ভব। এমনকি এগুলোর পৃন্ট আউট নিতে ও পড়তেও পারবে।
-------
http://www.manybooks.net
এই সাইটটিতে পাবেন ১৬ হাজারেরও বেশী ই-বুক, সবই ফ্রী। মোস্ট পপুলার, রিকমেন্ডেশন্স অথবা ভিজিটরদের রিসেন্ট রিভিউ লিংক থেকে ব্রাউজ করতে পারেন। এর স্পেশাল কালেকশন্স থেকেও ঘুরে আসুন, আপনার জন্য মাজার কিছু বই পেয়ে যেতেও পারেন।
-------
http://www.web-books.com/
ফিকশন ও ননফিকশন এই দুই সেকশনে ভাগ করা। ফিকশন বিভাগে আছে হরর, রহস্য, রোমান্স, সাইন্সফিকশন, ফ্যন্টাসি, নাটক, ছোট গল্প ইত্যাদি। ননফিকশনাল আইটেম বায়োগ্রাফি, ইতিহাস, ভাষা, দর্শন, কবিতা, ধর্ম, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়।
-------
http://www.baen.com/library/titles.htm
বেন ফৃ লাইব্রেরী সম্প্রতি অনেকগুলো বই ছেড়েছে ইলেকট্রনিক ফরমেটে। কোন শর্ত বা দায় ছাড়াই যে কেউ এখান থেকে ইচ্ছে মত পড়তে পারবে তাদের পছন্দের বই।
-------
জ্ঞানপিপাসুদের জন্য কিছু ফ্রি ই-বুক সাইট
আপনি হয়ত কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। বিদেশি পাঠ্যবইগুলোর অরিজিনাল কপি সবার কেনার সামর্থ থাকে না। নীলক্ষেত থেকে আপনি কিনে নিচ্ছেন ফটোকপি প্রিন্ট। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালেন ঠিকই, কিন্তু তাতে স্বাদ মিলল না। চলে আসুন কিছু ফ্রি ইন্টারনেট সাইটে। এই সব সাইট গুলো থেকে pdf ফরমেটে বা টেক্সট ফরমেটে বইগুলো নামিয়ে নিন ইচ্ছামত। পিডিএফ ফরমেটে বই পড়ার জন্য আপনার লাগবে foxit reader or adobe reader. আপনার কাছে এই দুটো সফটওয়্যার এর কোনটাই না থাকলে http://www.download.com এ গিয়ে সার্চ দিয়ে সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিন। এবার চলে আসি সাইটগুলোতে।
১. http://www.gigapedia.org
সম্ভবত ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় বুক-শেয়ারিং সাইট। যত ধরণের পাঠ্যবই দরকার, তার বেশিরভাগই আপনি পেয়ে যাবেন এই সাইটে। এজন্য আপনাকে মাত্র একবার ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এরপর সার্চ করে আপনার পছন্দমত বইটি ডাউনলোড করে ফেলুন। শুধু পাঠ্যবই নয়, বিভিন্ন গল্পের বই, রিসার্চ বই, ভাষা শিক্ষার বই, কমিকস-সবই আপনি পাবেন। এখানে একটা ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন, rapidshare এর লিংক এ না গিয়ে mihd.net এর লিংক থেকে ডাউনলোড করবেন। কেন, সেটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
২. http://www.smso.net
এটি শুধুমাত্র মেডিকেল স্টুডেন্ট এবং ডাক্তারদের জন্য। এখানেও একবার ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন লাগবে। বই, টিউটোরিয়াল নোট, অভিধান, এটলাস-সবই পাওয়া যাবে।
৩. http://www.gutenberg.org
ক্লাসিক বই ডাউনলোডের সবচেয়ে ভাল সাইট। এখানে ইচ্ছা করলে অফলাইন ক্যাটালগ ডাউনলোড করে নিতে পারেন। সেখান থেকে পছন্দমত বই বেছে নিয়ে ডাউনলোড করে ফেলুন। এখানে কোন রেজিষ্ট্রেশন লাগবে না।
এছাড়াও নিচের সাইটগুলোতে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন-
http://www.bibliomania.com
http://www.planetpdf.com
http://www.murchona.com
http://www.poemhunter.com
১ পারাপার
Click This Link
২ হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
Click This Link
৩ হিমুর একান্ত সাক্ষাতকার
Click This Link
৪ আশাবরি
Click This Link
৫ লীলাবতি
Click This Link
৬ হিমু
Click This Link
৭ হলুদ হিমু এবং কালো র্যাব
Click This Link
৮ হিমু রিমান্ড এ
Click This Link
৯ আবারো হিমু
Click This Link
১০ হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
Click This Link
১১ তোমাদের এই নগরে
Click This Link
১২ একজন হিমু ও কয়েকটি ঝি ঝি পোকা
Click This Link
১৩ কুটু মিয়া
Click This Link
১৪ তোমাকে
Click This Link
১৫ তিথির নীল তোয়ালে
Click This Link
১৬ দি এক্সোরসিস্ট
Click This Link
১৭ সবাই গেছে বনে
Click This Link
১৮ শঙ্খনীল কারাগার
Click This Link
১৯ সে আসে ধীরে
Click This Link
২০ সাজঘর
Click This Link
২১ রূপার পালংক
Click This Link
২২ রোদন ভরা এ বসন্ত
Click This Link
২৩ নি
Click This Link
২৪ নন্দিত নরকে
Click This Link
২৫ কুহক
Click This Link
২৬ কিছুক্ষণ
Click This Link
২৭ কিছু শৈশব
Click This Link
২৮ যদিও সন্ধ্যা
Click This Link
২৯ ইরিনা
Click This Link
৩০ হিমুর রুপালী রাত্রি
Click This Link
৩১ গোউরীপুর জংশন
Click This Link
৩২ একি কান্ড !
Click This Link
৩৩ এই শুভ্র এই !
Click This Link
৩৪ এই মেঘ রোউদ্র ছায়া
Click This Link
৩৫ দরজার ওপাশে
Click This Link
৩৬ চলে যায় বসন্তের দিন
Click This Link
৩৭ ছেলেটা
Click This Link
৩৮ চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক
Click This Link
৩৯ ভয়
Click This Link
৪০ বাসর
Click This Link
৪১ অদ্ভুত সব গল্প
Click This Link
৪২ বহুব্রিহী
Click This Link
৪৩ কবি
Click This Link
Click This Link
Click This Link
৪৪ অচিন পুর
Click This Link
৪৫ মধ্যান্য ১
Click This Link
৪৬ মধ্যান্য ২
Click This Link
৪৭ তুমি আমার ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে
Click This Link
৪৮ শুন্য
Click This Link
৪৯ অন্যভুবন
Click This Link
৫০ অনিশ
Click This Link
৫১ বোতল ভুত
Click This Link
৫২ বিপদ
Click This Link
৫৩ আজ চিত্রার বিয়ে
Click This Link
৫৪ বাঘবন্দী মিসির আলি
Click This Link
৫৫ অন্যদিন
Click This Link
৫৬ এলেবেলে ১
Click This Link
৫৭ তেঁতুল বনে জোৎস্না
Click This Link